সৈয়দ হযরত খাঁজা শাহ্ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ শাহ্) আল কাদরী ওয়াল চিশতি (রহঃ) হলেন বাংলাদেশ সহ পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একজন সুফি দরবেশ ও কাদেরিয়া ভান্ডার সিরাজ শাহ্’র আস্তানা দরবার শরীফ এর প্রতিষ্ঠাতা । তিনি হলেন কাদেরিয়া তরিকার অন্যতম প্রচারক ও সুফি সাধক যার পরিচয় যিনি নিজেই, সম্পূর্ন শরিয়তে পায়াবন্দি ও প্রচার বিমুখ একজন ইলমে তাসাউফ এর সাধক যিনি তার সারাটি জীবন অগণিত ভক্ত ও মুরিদান গনকে শরিয়্ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফাতের শিক্ষা প্রদান করেছেন । আল্লাহ-রাসুল বিমুখ মানুষকে করেছেন আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রেমীক । অগণিত মানুষের কাছে প্রচার করেছেন গাউসে পাক (বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর সান মান ।
জন্ম
শাহ্ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম আল কাদরী ওয়াল চিশতী (রহঃ) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে কুশিয়ারা গ্রামে ২৫ শে সেপ্টেম্বর ১৯৩২ (বাংলা ১০ আশ্বিন ১৩৩৯) এ জন্ম গ্রহন করেন । তার পিতা সৈয়দ হযরত আব্দুর রাজ্জাক শাহ্ আল কাদরী ওয়াল চিশতী (রহঃ) ও মাতা ছবুরুন নেছা । তার পৃত্বিকুল ইয়েমেন থেকে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের কুশিয়ারা গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং তার মাতৃকুল ভারতের কাশ্মীর থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন ।[১]
প্রারম্ভিক জীবন ও নৈপথ্য
হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) এর জীবনের শুরুটা হয় মাতৃবিয়োগ দিয়ে, মাত্র ৪/৫ বয়সেই মাতৃহারা হন, মাতৃহারা হযরত সিরাজ শাহ্ লালিত পালিত হতে থাকেন পিতার স্নেহ ও ভালোবাসায় । এতো অল্প বয়সে মাতৃ বিয়োগ তার জীবনে বিশাল শুন্যতা সৃষ্টি করে, একাকী ও নি:সঙ্গতায় বেড়ে উঠেন, পাঁচ বছর বয়সে ভর্তি হন কদম রসুল দরগাহ সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুলে আর তার পাশাপাশি তার পিতা আব্দুর রাজ্জাক শাহ্’র নিকট শরিয়ত ও তাসাউফ শিক্ষা নিতে থাকেন। উনি জন্মগত আল্লাহর অলি তাই উনাকে অনেক পাগল মস্তানগন চিনে ফেলতেন আর ছোট বেলা থেকেই তাকে নানা ভাবে উৎপাত করতেন, স্কুলে যাবার সময় তাকে বাধা দিয়ে বলতেন “তোর পড়াশুনা লাগবেনা, চলে যা” পাগলরা তার বই খাতা পানিতে ফেলে দিত [২], প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে উনি নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বি.এম হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেনীতে ভর্তি হন, সেই স্কুলের ঋষিকেশ নামের একজন শিক্ষক তাকে পায়ে ধরে সালাম করেতেন আর বলতেন তুমি অনেক বড় হবে তোমাকে আমি চিনে ফেলেছি[৩] , উনার ১০ বছর বয়সে মাওলানা ওবায়দুল মুন্সি নামক আরবী শিক্ষক তাকে পা ছুয়ে সালাম করতেন এতে উনি অনেক বিব্রত বোধ করতেন, মাওলানা বলতেন বাবা তুমি কি আমি জানি [৪] । ১৩/১৪ বয়স থেকেই উনি মাটির নিচে ৪১ দিন করে চিল্লা করতেন, তখন তিনি তিন বেলা তিলের তেলের ১ টি করে রুটি খেয়ে স্বল্পাহারে এবাদত করতেন, সারাক্ষন মোশাহেদা-ধ্যানে নিমগ্ন থাকতেন [৫] । ছোটবেলা থেকেই কঠোর আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) এর জীবন এর সূত্র পাত ঘটে ।
বিবাহ জীবন ও পরিবার বর্গ
হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) ১৯৬১ সালে ২৮ বৎসর বয়সে বিবাহ করেন মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মৌলভী (রহঃ) এর মেয়ে মা ফয়জুন নেসাকে । তার এক মাত্র পুত্র যিনি বর্তমান কাদরিয়া ভান্ডার সিরাজ শাহ’র আস্তানা দরবার শরীফ এর গ্দ্দীনশিন পীর সৈয়দ হযরত খাঁজা শাহ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আল কাদরী ওয়াল চিশতি (বাবা শামীম শাহ) ও দুই মেয়ে: বড় মেয়ে মোসাম্মৎ কামরুন নাহার বেবী ও ছোট মেয়ে মোসাম্মৎ নাজমুন নাহার সীমা । হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) এর দুই দৌহিত্র বাবা শামীম শাহ্’র দুই পুত্র মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম ইফতি শাহ্ আল কাদরী ওয়াল চিশতী ও মোহাম্মাদ ওয়াসিকুল ইসলাম মারুফ শাহ্ আল কাদরী ওয়াল চিশতী । বড় মেয়ের ঘরে দুই ছেলে বড় ছেলে কামরুল এহসান সজীব আল কাদরী ও ছোট ছেলে কামরুল হাসান সিজান আল কাদরী । ছোট মেয়ের ঘরে এক মাত্র পুত্র ইশরাক আল কাদরী [৬] ।
তরিকত ও আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা প্রদান
হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) একজন প্রচার বিমুখ আল্লাহর অলি, তিনি তার প্রচার হতে দেন নি, কিন্তু আল্লা্হ তার প্রিয় বন্ধুর গুনগান গোপন রাখেন না, তার বন্ধুর ভালোবাসা ও ভক্তি মানুষের অন্তরে জাগিয়ে দেন । তেমনি ভাবে বাবা সিরাজ শাহ্ (রহঃ) এর গুনগান লোকমুখে প্রচার হতে থাকে কেননা তিনি ছিলেন ব্যবাহারে অনন্য অস্বাধারন গুনাবলি সম্পন্ন একজন মানুষ, তার সান মান দিক-বিদিক প্রচার হতে থাকে আর দুর দুরান্ত থেকে অগণিত মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ও তার কাছে থেকে বায়াত গ্রহন করতে আসতে থাকেন, আল্লাহর মহান এই অলির কাছে তাদের সমস্যা ও দু:খের কথা বলতেন, মানুষের ব্যাথা এতো অন্তর দিয়ে উপলব্ধী করার মতো মরমে মরমী সাধক ও আল্লাহর অলি গোটা জগত জুরে শুধু বিরল নয় বরং অপ্রতুল । তিনি ব্যাথিত হৃদয় কে ব্যাথিত হৃদয় দিয়েই অনুভব করতে পারতেন তাই তো মানুষজন ছুটে আসতেন তার কাছে শুধু মনের কথা বলার জন্য । তিনি হলেন জোরা বিহীন আল্লাহর অলি, বাবা শামীম শাহ্ রচিত সিরাজ শাহ্ বাবার জীবনি ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক বিষয়ক গ্রন্থে উনি বলেছেন হযরত সিরাজ শাহ্ রহ. ছিলেন :
আধ্যাত্মিকতায় তিনি ছিলেন প্রবাদতুল্য, নৈতিকতায় উত্তম চরিত্রের অধিকারী, আদর্শে অনুকরণীয়, ব্যাবহারে কোমল, মৃদুভাষী ও মিষ্টভাষী, নিভৃতচারী এক দরবেশ । তিনি তার সারাটি জীবন অসংখ্য মানুষকে তরিকত সহ মানবিকতার শিক্ষা দান করেছেন, তিনি প্রায় সময়ই আল্লাহর প্রেমে বুদ হয়ে হালে চলে যেতেন, উনি এমন একজন আল্লাহর অলি ছিলেন যে, তার অস্বাধারন তাওয়াজ্জো এত্তেহাদীর শক্তিতে ঘোর পাপী, মানুষের কঠীন হৃদয়ও মুহর্তের মধ্যে পরিবর্তিত হতো, মৃত অন্তর জিন্দা হয়ে সেখানে আল্লাহর জিকির হত এবং সেই মানুষ মুহুর্তেই আল্লাহ ওয়ালা হয়ে যেতেন । ইসলামের শরিয়ত, মারেফাত, হাকিকত, এবং তরিকতের এক মহান নিশান বরদার শিক্ষক ও অধ্যাপক তিনি । তিনি শরিয়ত, মারেফত, হকিকত ও তরিকত এর ৪ টি বিষয়ে পারদর্শিতা লাভ করা প্রকৃত কামেল অলি ও নায়েবে রাসুল ।
কাদরিয়া ভান্ডার সিরাজ শাহ’র আস্তানা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠা
১৯৮৩ সালে হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) বাগদাদ শরীফে গাউস পাক (বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর খেদমতে গিয়েছিলেন, সেখানে তিনি কিছুদিন খেদমতে ছিলেন এবং সেখান থেকে ফেরার পর ১৯৮৪ সালে কাদরিয়া ভান্ডার সিরাজ শাহ’র আস্তানা দরবার শরীফের কাজ শুরু করেন [৭] , গাউসে পাকের মোননিত এই পাক দরবার শরীফে তিনি প্রতিনিয়ত অগণিত আশেকান-মুরিদানগণকে শরিয়ত, তরিকত, হকিকত ও মারেফাতের মহান শিক্ষা প্রদান করেছন । আল-কোরানের শ্বাশ্বত মর্মবাণী ও তাসাউফের দর্শনে তাদের পরিশুদ্ধ করেছেন। জিকির, আসকার, তসবিহ, তাহলিল, আলোচনা সভা, গযল, কাওয়ালি ও ছামার মজলিশ বসে এই পাক দরবার শরীফে । দরবার শরীফের যাবতীয় অনুষ্ঠান ও কর্মসূচী এখানেই পালন করা হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতি ইংরেজী মাসের প্রথম শুক্র বার পবিত্র দুরুদ শরীফের ফাতেহা ও দোয়ার মাহফীল যা কি না হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) শুরে করেছেন যার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন উনার এক মাত্র সুযোগ্য পুত্র বর্তমান পীর কেবলা হযরত খাঁজা শাহ্ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আল কাদরী ওয়াল চিশতী (বাবা শামীম শাহ্) । যিনি প্রতিনিয়ত তার ভক্ত ও মুরিদান গণকে শরিয়ত ও মারেফাতের নিগুর তত্ব শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছেন, প্রচার করছেন দয়াল নবী করিম সা: ও আহলে বায়াতের সান মান এবং গাউসে পাক ও সিরাজ শাহ্ বাবার গুনগান আর তার সাথে আছেন তার দুই সুযোগ্য পুত্র, হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) এর দৌহিত্র মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম ইফতি শাহ্ আল কাদরী ওয়াল চিশতী ও মোহাম্মাদ ওয়াসিকুল ইসলাম মারুফ শাহ্ আল কাদরী ওয়াল চিশতী
খেলাফত প্রদান
হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) সর্ব প্রথম খেলাফত প্রদান করেন ১৯৯৯ সালের ২৬ শে অক্টবর তার এক মাত্র ছেলে হযরত খাঁজা শাহ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আল কাদরী ওয়াল চিশতি ( বাবা শামীম শাহ্ ) কে ও পরবর্তিতে ২০১২ সালের ২৫ শে এপ্রিল তার দুই দৌহিত্র (শামীম শাহ্ বাবার দুই পুত্র) মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম ইফতি শাহ্ আল কাদরী ওয়াল চিশতী ও মোহাম্মাদ ওয়াসিকুল ইসলাম মারুফ শাহ্ আল কাদরী ওয়াল চিশতী কে এক সঙ্গে খেলাফত প্রদান করেন [৮] ।
ওফাত ও পবিত্র মাজার শরীফ
হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) তার অংসখ্য ভক্ত ও মুরিদান গণকে কাঁদিয়ে ২০১৩ সালের ৪ ই ফেব্রুয়ারী সোমবার বেলা ৩.২৬ মিনিটে ৮৪ বৎসর বয়সে মাওলার উদ্দেশ্যে এই দুনিয়া ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় পাড়ি জমান। পৃথিবী হারায় তার যুগশ্রেষ্ঠ অলিকে । ৫ তারিখ বাদ জোহর সিরাজ শাহ্ বাবার এক মাত্র পুত্র ও বর্তমান কাদরিয়া ভান্ডার সিরাজ শাহ্’র আস্তানা দরবার শরীফের বর্তমান গদ্দীনশিন পীর বাবা শামীম শাহ্ তার জানাজার নামাজ পড়ান । সেদিন হরতাল থাকা সত্বেও দুর দুরান্ত সহ দেশের সমস্ত যায়গায় থাকা তার মুরিদান, ভক্ত ও অনুরাগী গন আসেন মুর্শিদ কেবলা বাবা সিরজা শাহ্ (রহঃ) কে এক নজর দেখার জন্য ও তার জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য । জানাজা শেষে মহান এই সুফি দরবেশ কে চীরদিনের মতো সমাহিত করা হয় কাদরিয়া ভান্ডার সিরাজ শাহ্’র আস্তানা দরবার শরীফে অবস্থীত তার মাজার শরীফে যার মুল ভাগের কাজ তার জীবাদ্দশায় উনি নিজেই নির্মান করে রেখে গিয়েছিলেন। চারিদিকে চারটি সাদা গম্বুজের মাঝখানে সবুজ গম্বুজ বিশিষ্ঠ মাজার । এই মাজারে উপরে বসে তিনি রাতে নামাজ ও ধ্যান-মোশেহেদা, জিকির আজগার করতেন আর সব সময় বলতেন এই কবরে আমাকে সমাধী করা হবে [৯] । তার এই মনের বাসনা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কবুল করেছেন । এখানেই তিনি মওলার সান্নিধ্যে শুয়ে আছেন আর প্রতিনিয়ত বিতরন করছেন তার রুহানী ফায়েজ । প্রতিদিন দেশের দুর দুরান্ত থেকে অগণিত মানুষ আসেন তার রওজা মোবারক জিয়ারত ও তার রুহানী ফয়েজ নেয়ার জন্য ।
পবিত্র ওরশ মোবারক
হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) এর ওফাত ৪ ই ফেব্রুয়ারী, এই দিন টি তার ওফাত দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিন টিকে কেন্দ্র করে প্রতি বৎসর (৪ ও ৫ ই ফেব্রুয়ারী) কাদরিয়া ভান্ডার সিরাজ শাহ্’র আস্তানা দরবার শরীফে বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানি (রহঃ) এর ওরশ মোবারক পালন করা হয়ে থাকে । দেশে ও দেশের বাইরে থেকে হাজার হাজার, লক্ষ্য লক্ষ্য অলি প্রেমিক মানুষগন ছুটে আসেন উক্ত ওরশ মোবারকে অংশ নিতে ।
প্রথম প্রকাশ : উকিপিডিয়া
লেখক : তানভীর সজীব
তথ্যসূত্র :
হযরত সিরাজ শাহ্ (রহঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনি লিখাটি পীর কেবলা হযরত খাঁজা শাহ্ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আল কাদরী ওয়াল চিশতী ( বাবা শামীম শাহ্) রচিত গ্রন্থ দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক গ্রন্থ থেকে কিছু সরাসরি লাইন ও উদ্ধৃতি নেয়া হয়েছে নিচে তার তথ্যসূত্র দেয়া হলো :
- [১] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ০৫
- [২] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ০৬
- [৩] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ০৬
- [৪] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ০৭
- [৫] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ০৭
- [৬] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ১০
- [৭] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ১৩
- [৮] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ১২
- [৯] দয়াল বাবা সিরাজ শাহ্ ও তরিকত নিয়ে সাধারন বিতর্ক পৃষ্ঠা নাম্বার ১৪